শিশুদের শিক্ষামূলক ‘মিউ’ ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে আরেকটি গানের অ্যালবাম।

শুক্রবার সকালে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত সবকটা গানের কথা ও সুর করেছেন সুফি সুফিয়ান। মিউজিক করেছেন কৌশল দাস বিজন এবং সুদীপ চক্রবর্তী।

মোরগ ডাকে গানটি গেয়েছেন আদৃতা, কাঠবিড়ালি গেয়েছেন পল্লবী মৌ, একটা হুলোবিড়াল গেয়েছেন আরাধ্যা, দুষ্টু বিড়ালটা গেয়েছেন গুনগুন, বিড়াল ছানা গেয়েছেন তটিনি। প্রতিটি গানই শিশুমনে আনন্দের পাশাপাশি শিক্ষণীয় বিষয় আছে।

মোরগ ডাকে গানটিতে বিভিন্ন প্রাণির ডাক নিয়ে করা। সোনামণিরা পশুপাখিদের ডাকাডাকি শিখবে সঙ্গে প্রাণিদের বৈশিষ্ট্য।

কাঠবিড়ালি গানে শিশুদের দায়িত্বশীল হওয়ার প্রেরণা দেওয়া হয়। এটার ভিজ্যুয়াল দৃশ্য যেন একটা গল্প। সকালের ব্যায়াম করে একদল কাঠবিড়ালি বাগানের ফল খেয়ে ফেলে। যে ফলগুলো পাহারা দিতে দিয়েছিল বানর। বনবিড়াল কাঠবিড়ালির এ খবর বানরকে দিলে সে জেলার বেজির কাছে বিচার চায়। বেজি তাকে লাল লাঠিদিয়ে আঘাত করলে কাঠবিড়ালি শপথ করে কারও আমানত জীবনেও খেয়ানত করবে না।

বিড়ালছানা গানটিতে বইপড়ে ভাবনাকে প্রসারিত করার কথা বলা হয়। যেমন—বিড়াল বিড়াল বিড়াল ছানা ছানা তোমার বাড়ি কই/ আমার বাড়ি আইসো তুমি পড়তে দেব গল্প বই।

এছাড়া আছে— রাজাপুত্তুর ডালিমকুমার হাট্টিমাটিম গল্প কয়/ পরির দেশে পারবে যেতে যদি তোমার ইচ্ছে হয়।

দুষ্টু বিড়ালটা গানে দুষ্ঠুমি না করার আহ্বান করা হয়। কাজ না করে শুধু দুষ্টুমি করলে বিড়াল ছানাকে বলা হয়। যেমন—কুকুরছানা ভ্যাংচি কাটে ডালের কাকটা হাসে/ আদর করে কেউ বসে না কখনো তার পাশে/ হায় হায় হায় হায়।

একটা হুলো বিড়াল গানে শিশুমনের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে ভিন্নভাবে দেখানো হয়। যা পাওয়া যায় না তাই ভালো। এই বোধ থেকে যখন দুষ্টু বিড়ালকে তাড়িয়ে কুকুরকে ডেকে আনে ইঁদুরগুলো। কিছুদিনের মধ্যে টেরপায় কুকুরের চেয়ে বিড়ালই ভালো ছিল।

হুলোর নাকে মুলো দিয়ে শাসন করার আশায়/ সকল ইঁদুর একটা কুকুর আনলো ডেকে বাসায়/ হুলোর চেয়ে কুকুর এখন দেখায় বেশি ডর/ একটা হুলো বিড়াল শাসন করে আস্ত একটা ঘর।

সুফি সুফিয়ান বলেন, কার্টুন অ্যানিমেশন দিয়ে দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রতিটি গানের দৃশ্য। শুধু ছোটোদেরই ভালো লাগবে এমন না। বড়োদেরও ভালো লাগবে। এবং তাদেরও অন্যভাবে ভাবাবে!

ভিডিও :