সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ জুন, ২০২৪ ১৪:১২

রোজ গার্ডেন থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ

আজ ২৩ জুন, আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জন্ম নেয় দলটি। দীর্ঘ ৭৫ বছর পার করে ৭৬-এ পা দিয়েছে উপমহাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ।

রোজ গার্ডেন থেকে বর্তমান ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ- এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে গিয়ে যেমন বহু প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে, তেমনি দলটির ঝুলিতে জমা হয়েছে অনেক অর্জন। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় গৌরবের অর্জন হচ্ছে, এই দেশের স্বাধীনতা। এই অর্জনে এককভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে আওয়ামী লীগের (পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ) প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে লিখেছেন- ‘কোথাও হল বা জায়গা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত কাজী হুমায়ুন বশীর সাহেবের কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনের বাড়িতে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়েছিল।’ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু আরও লেখেন- ‘আমি মনে করেছিলাম, পাকিস্তান হয়ে গেছে। সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে, যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে। ভাবলাম, সময় এখনো আসে নাই, তাই যাঁরা বাইরে আছেন তাঁরা চিন্তাভাবনা করেই করেছেন।’

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ তার ‘আওয়ামী লীগ উত্থানপর্ব ১৯৪৮-১৯৭০’-এ লিখেছেন, ‘মুসলিম লীগ সরকারের ভয়ভীতি, ত্রাস ও নির্যাতনকে উপেক্ষা করে সম্মেলনকে (মুসলিম লীগের কর্মীদের সম্মেলন) সহযোগিতা দিতে অনেক ঢাকাবাসী সাহস পাননি। সম্মেলনের জন্য সরকারি কোনো মিলনায়তন জোগাড় করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে কাজী হুমায়ুন বশীর তাঁর কে এম দাস লেনের বাসভবন রোজ গার্ডেনে সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দেন। সম্মেলনের প্রস্তুতি চলার সময় ভাসানী (মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী) ১৫০ নম্বর মোগলটুলিতে থাকতেন। ১০ জুনের দিকে সংবাদ পাওয়া গেল, সরকার ভাসানীকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করছে। খন্দকার মোশতাক আহমদ তখন কাজী বশীরের সঙ্গে পরামর্শ করে শওকত আলীর সহায়তায় ভাসানীর গায়ে কম্বল পেঁচিয়ে তাকে সেই রাতেই ঘোড়ার গাড়িতে করে রোজ গার্ডেনে পৌঁছে দেন। সম্মেলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভাসানী কাজী বশীরের রোজ গার্ডেনেই ছিলেন।’

পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের (পরে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠার বর্ণনা দিতে গিয়ে মহিউদ্দিন আহমদ আরও লেখেন, ‘২৩ জুন (১৯৪৯) বেলা তিনটায় রোজ গার্ডেনের দোতলার হলঘরে সম্মেলন শুরু হয়। সেখানে ২৫০ থেকে ৩০০ কর্মী উপস্থিত হন।’ ১৫০ মোগলটুলি সম্পর্কে মহিউদ্দিন আহমদ তার বইয়ে লেখেন, ‘এখানে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের একটি শাখা অফিস ছিল। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই শাখা অফিসকে কেন্দ্র করেই বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি সংগঠিত হয়। ঢাকার নবাববাড়িকেন্দ্রিক প্রভাব খর্ব করার ক্ষেত্রে ১৫০ নম্বর মোগলটুলির তরুণদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।’

‘আওয়ামী লীগ উত্থানপর্ব ১৯৪৮-১৯৭০’ বইয়ে তিনি আরও লেখেন, ‘আতাউর রহমান খান মূল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। অনেক আলোচনার পর ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। আওয়ামী লীগ নামটি মওলানা ভাসানীর দেওয়া। ...২৩ তারিখের (২৩ জুন) অধিবেশনের শেষ দিকে মওলানা ভাসানী প্রস্তাব করেন, প্রতিটি জেলা ও প্রতিষ্ঠানের একজন করে প্রতিনিধি নিয়ে সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হোক। এত বড় কমিটি করার ব্যাপারে অনেকেরই আপত্তি ছিল। পরে মওলানা ভাসানীকেই কমিটি করার অনুরোধ জানানো হয়। ভাসানী পরামর্শের জন্য একটি ঘরে ঢোকেন এবং কিছুক্ষণ পর বাইরে এসে ৪০ জন নিয়ে একটি কমিটির প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবটির ব্যাপারে সবাই একমত হন। কমিটির কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী (সভাপতি), আতাউর রহমান খান, সাখাওয়াত হোসেন, আলী আহমেদ খান, আলী আমজাদ খান ও আবদুস সালাম খান (সহসভাপতি), শামসুল হক (সাধারণ সম্পাদক), শেখ মুজিবুর রহমান (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), খন্দকার মোশতাক আহমদ ও এ কে এম রফিকুল হোসেন (সহসম্পাদক) এবং ইয়ার মোহাম্মদ খান (কোষাধ্যক্ষ)।’

ড. শ্যামলী ঘোষ তার ‘আওয়ামী লীগ ১৯৪৯-১৯৭১’ বইয়ে লিখেছেন, ‘১৯৪৯ সালের গ্রীষ্মের গোড়ার দিকে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের আন্তঃদলীয় দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। দলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের পক্ষপাতী সদস্যরা প্রাদেশিক পরিষদের টাঙ্গাইল আসনের উপনির্বাচনে মুসলিম লীগের দলীয় প্রার্থী খুররম খান পন্নীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ঢাকার বিশিষ্ট মুসলিম লীগের কর্মী শামসুল হককে মনোনয়ন দান করে। শামসুল হক উল্লেখযোগ্য ভোটের ব্যবধানে পন্নীকে পরাজিত করলে প্রদেশে পরিবর্তনের বিরোধিতাকারীদের নড়বড়ে অবস্থানের মুখোশটি উন্মোচিত হয়ে পড়ে। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতির পরবর্তী ঘটনাগুলো এরই স্বাভাবিক পরিণতি বৈ আর কিছু নয়। ১৯৪৯ সালের জুন মাসে কতিপয় মুসলিম লীগ এমএলএ কর্মী যারা দলীয় প্রভুদের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তারা ঢাকায় দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের আয়োজন করে।’

পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয় ১৯৫৫ সালে। এ প্রসঙ্গে ড. শ্যামলী ঘোষ তার বইয়ে উল্লেখ করেন, “১৯৫৫ সালের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হলে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য সদস্যপদ লাভের পথ উন্মুক্ত হয়। ১৯৫৩ সালের জুলাই মাসে কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বপ্রথম বিষয়টি উত্থাপিত হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ভাসানী কর্তৃক জনমত যাচাই না হওয়া পর্যন্ত প্রশ্নটি অমীমাংসিত থাকে (ছিল)।” পাকিস্তানের শোষণ থেকে মুক্তি অর্থাৎ স্বাধীনতার পর দলটির নাম হয় ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’।

এই দীর্ঘ সময় (৭৫ বছর) পাড়ি দিতে আওয়ামী লীগকে কখনো সহ্য করতে হয়েছে শাসকের রক্তচক্ষু, কখনো দলটির নেতা-কর্মীদের ওপর নেমে এসেছে অসহ্য নির্যাতন। এই দলের প্রাণপুরুষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বেশির ভাগ সময় কাটাতে হয়েছে কারা প্রকোষ্ঠে। এমনকি একাধিকবার তার প্রাণ সংশয়ের উপক্রম হয়েছে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন, দমন-পীড়ন আর জেল-জুলুম নেমে আসে। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা প্রবাস থেকে দেশে ফেরার পর আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন করেন। শেখ হাসিনার আপসহীন নেতৃত্বে ক্রমে সংগঠিত হতে থাকেন দলটির নেতা-কর্মীরা এবং পঁচাত্তর-পরবর্তী দুঃসময় কাটিয়ে ১৯৯৬ সালে জনগণের রায়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

কিন্তু তারও আগে এই সংগঠনের প্রাণপুরুষ শেখ মুজিবুর রহমান তার কাজের মধ্য দিয়ে হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা। তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) ১৯৫২ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরের বছর ঢাকার ‘মুকুল’ প্রেক্ষাগৃহে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু। প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজনৈতিক সংগ্রাম, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়সহ বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে পঞ্চাশের দশকেই আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠে পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল তথা প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। তবে প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী রাজনৈতিক মতভিন্নতার জন্য ১৯৫৭ সালে দল ছেড়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের ওপর বিশেষ গুরুত্বসহ ৪২ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ। শুরুর দিকে দলটির প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল- বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি, এক ব্যক্তির এক ভোট, গণতন্ত্র, সংবিধান প্রণয়ন, সংসদীয় পদ্ধতির সরকার, আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন এবং তৎকালীন পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করতে আওয়ামী মুসলিম লীগ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ১৯৬৬ সালেই (ষষ্ঠ কাউন্সিলে) বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। সাধারণ সম্পাদক হন তাজউদ্দীন আহমদ। সপ্তম ও অষ্টম কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অপরিবর্তিত থাকেন। এভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ এবং গোটা বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে মুক্তিকামী মানুষ। এরপর আসে ভয়াল ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নৃশংসভাবে নিহত হন জাতির পিতা। এরপর শুরু হয় ভাগ্যক্রমে বেঁচে থাকা তার (বঙ্গবন্ধুর) দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার দীর্ঘ দুরূহ পথ।

কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। কিন্তু মাত্র পাঁচ বছর দেশ শাসনের পর ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়। পরবর্তী সময় দেশে রাজনৈতিক সংকটের (সেনাসমর্থিত সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ) পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনরায় সরকার গঠন করে। এরপর ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে।

সম্মেলন করার জন্য একটি হল ভাড়া পেতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতারা ১৯৪৯ সালে দ্বারে দ্বারে ঘুরে পেয়েছিলেন রোজ গার্ডেন। এই রোজ গার্ডেনে জন্ম নেওয়া দলটি (আওয়ামী লীগ) এখন উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি (আওয়ামী লীগ) টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এখন সম্মেলন করার জন্য কোনো হল খুঁজে বেড়াতে হয় না। ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৈরি হয়েছে আওয়ামী লীগের সুরম্য ভবন। সেখানে রয়েছে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। তবে বেশ কিছু সময় ৯১, নবাবপুর রোডেও ছিল আওয়ামী লীগের কার্যালয়।

১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। তখন এখানেই (৯১, নবাবপুর রোড) বসতেন দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর অস্থায়ীভাবে সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলের গলিতে কিছুদিন বসে অফিস করেন নেতারা। পরে পুরানা পল্টনের দুই জায়গায় দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের অফিস ছিল। ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলের দায়িত্ব নিলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নতুন ঠিকানা হয় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত