সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ জুন, ২০২৪ ১৬:১৫

আমেরিকার ফরেন পলিসি তৈরিতে বাংলাদেশের পরামর্শ দেওয়ার সময় এসেছে

আলোচনা সভায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

ভবিষ্যতে আমেরিকার ফরেন পলিসি কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে বাংলাদেশের পরামর্শ দেওয়ার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেছেন, আমেরিকার ফরেন পলিসি কী ধরনের হওয়া উচিত সেগুলোতে আমরা উপদেশ দেব। আমাদের এখন উপদেশ নেওয়ার সময় নয়, আমাদের এখন উপদেশ দেওয়ার সময়। আমেরিকা যদি তাদের ফরেন পলিসি পরিবর্তন করে এবং দুনিয়ার মানুষের কথা চিন্তা করে। তাহলে তারা বিশ্বের নেতা হবে। আর যদি তাদের নীচু মন মানসিকতা প্রকাশ পেতে থাকে তাহলে কিন্তু তারা বিশ্বের মধ্যে কুলাঙ্গার হবে।

শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খা হলে 'আওয়ামী লীগের সফল ও গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনার আয়োজন করে এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (ইআরডিএফবি)।

মোমেন বলেন, আগামী পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কী হবে এটা নিয়ে ভাবার সময় এখন এসেছে। কারণ ইতিমধ্যে জঞ্জাল লেগে গেছে। পৃথিবী ঘিরে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব বিরাজ করছে। তাই আমাদের এডুকেশন রিসার্চের গবেষণা করা উচিত যে বিশ্বের ভবিষ্যৎ কী ধরনের হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, দুনিয়া নিয়ে ভাবার সময় আমাদের এখন এসেছে। আমরা তাদের আঙুল দিয়ে দেখায় দিতে চাই। এজন্যই আমাদের প্রয়োজন আছে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের।

সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোর প্রতি আমাদের দাবি এই অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করে মানুষের মনমানসিকতা ও সংস্কৃতির বিকাশে সেই টাকাগুলো খরচ করেন। ২৩শ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু অস্ত্র কেনা বা ডিফেন্সের নামে তা সবই মেকিং। আমরা যদি মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যবোধ তৈরি করতে পারি তাহলে ওইগুলোর প্রয়োজন হবে না। আজকে যারা গবেষণা করে তাদেরকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কিভাবে ডাইভারসিফিকেশনের মাধ্যমে এই অর্থ মানুষের বিকাশের জন্য কাজে লেগে পৃথিবীতে সুন্দর একটা রূপ দেয়া যায়।

পশ্চিমা বিশ্বের ফ্রি থিংকিং এর পরিধি সীমিত হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি আমাকে দাওয়াত দেয়, জিও পলিটিক্স এর বিষয়ে আলোচনা করতে। তারপর তারা আমাকে শর্তও দিয়ে দেয় যে, আপনি গাজা এবং ফিলিস্তিনের ইস্যুতে কোন কথা বলবেন না। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মতন বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে উন্মুক্তভাবে সকল কিছু আলোচনা করা যায়। তারা এখন কতটা ন্যারো মাইন্ডেড হয়ে গেছে এর মাধ্যমে বুঝা যায়।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে ল্যান্ড অফ ফ্রিডম স্পিচ এন্ড ফ্রি মিডিয়া। গত ৭০ বছরে আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে তারা একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র তৈরি করেছে। শুধু দেশ তৈরি নয়, সেই দেশটাকে শক্ত ভীমের উপর প্রস্তুত করার জন্য যা যা দরকার তাই করেছে। এজন্য ধন্য শেখ হাসিনা ধন্য তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।

আলোচনা সভায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত