জুড়ী প্রতিনিধি

২৩ জুন, ২০২৪ ২৩:৫১

জুড়ীতে তরুণকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে হত্যা

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ঘুম থেকে ডেকে তুলে ঈদুল হাসান আরমান (২২) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত শনিবার (২২ জুন) গভীর রাতে উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরেরগাঁও এলাকায় ঘটে। নিহত তরুণ উপজেলার গরেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সৌদি আরবপ্রবাসী সুমন মিয়ার ছেলে।

এ সময় বাধা দিতে গেলে ছুরিকাহত হন নিহত তরুণের স্বজন রফিক মিয়া (৪৮)। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও নিহত আরমানের খালু। বর্তমানে তিনি সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল করেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ঈদুল হাসান আরমানের মা রহিমা আক্তার অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আরমান শনিবার রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১২টার দিকে প্রতিবেশী তানভীর আহমদ (২২) ঘরের সামনে এসে তাকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। একপর্যায়ে আরমান ঘুম থেকে উঠে ঘরে থেকে বের হন। তৎক্ষণাৎ তানভীর ধারালো ছুরি দিয়ে আরমানের ঘাড়ের ডান পাশে আঘাত করেন। এ সময় আরমানের খালু রফিক মিয়া কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটনাটি দেখে তিনি বাধা দিতে গেলে তানভীর তাকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় আরমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে ছুরিকাহত রফিক মিয়াকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে তানভীর, তানভীরের বাবা ইয়াজ মিয়া (৫৫), ভাই তুহিন আহমদ (১৯) ও চাচা তাজ মিয়াকে (৫৫) আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জুড়ী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম।

তিনি রোববার সকালে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত আরমানের ডান পাশের ঘাড়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে থানায় আনা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত