নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ জুলাই, ২০২৪ ১৮:১৫

একমাসের মধ্যে তৃতীয়বার বন্যার মুখে গোয়াইনঘাট

একমাসের মধ্যে তৃতীয়বার সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগের দুটি বন্যার ধকল না কাটতেই সীমান্তবর্তী এ উপজেলার নিম্নাঞ্চল সোমবার থেকে আবার প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন।

রবিবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নদ নদীগুলোর পানি দ্রুত বাড়ছে। এতে করে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয় জানিয়েছে, সিলেটে সোমবার ভোর ছয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত নয় ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার। এর মধ্যে ভোর ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত তিন ঘন্টায়ই বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬৫ মিলিমিটার। যেখানে ভোর ছয়টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ভারতের মেঘালয়-চেরাপুঞ্জিতেও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। ভারতের আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট আইএমডির তথ্যমতে, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে সোমবার সকাল নয়টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায়ই শুধু বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩১৩ মিলিমিটার। আর সোমবার সকাল নয়টা থেকে বুধবার পর্যন্ত সকাল নয়টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৯৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে।

অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাট উপজেলার সকল নদ নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে গোয়াইনঘাট উপজেলাজুড়ে পুনরায় বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে তিন ঘন্টায় উপজেলায় সারি নদীর পানি ১ মিটার বেড়েছে। দ্রুত পানি বাড়ায় বন্যার শঙ্কায় উপজেলাবাসীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করার পাশাপাশি উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাঝিসহ ৪৭টি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নদনদীর পানি বাড়ায় গোয়াইনঘাটে তৃতীয় দফা বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমরা জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছি। পাশাপাশি পরিস্থিতির অবনতি হলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেজন্য আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার পাশাপাশি উদ্ধার কাজের জন্য ৪৭টি নৌকাও প্রস্তুত রেখেছি।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত